স্বদেশ ডেস্ক:
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা। তাদের অভিযোগ, সরকারি চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ট্রুডোর পরিবারকে লাখো ডলার অর্থ দিয়েছে একটি বহুজাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর জন্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। দ্য গার্ডিয়ান।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বজনরা নিজেদের ব্যক্তিগত চুক্তির আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন।’
গত জুনে বহুজাতিক দাতব্য সংস্থা উই চ্যারিটির সঙ্গে কানাডার সরকারের একটি চুক্তি হয়। এর আওতায় উই চ্যারিটিকে ৯০ কোটি কানাডীয় ডলার মূল্যের একটি শিক্ষার্থী কর্মশালাবিষয়ক প্রোগ্রাম পরিচালনার কাজ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী, উই চ্যারিটিকে কানাডার সরকারের অন্তত ১ কোটি ৯৫ লাখ কানাডীয় ডলার পরিশোধের কথা ছিল। তবে ৩ জুলাই বাতিল হয়ে যায় চুক্তিটি। উই চ্যারিটি কানাডার সরকার জানায়, স্বার্থগত সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উই চ্যারিটি জানায়, বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন চ্যারিটি ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য ট্রুডোর স্ত্রী, মা ও ভাইকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে ট্রুডোর মা মার্গারেট ট্রুডোকে একাই দেওয়া হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ কানাডীয় ডলার। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তাকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য মাইকেল ব্যারেট শুক্রবার বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
ব্যারেট আরও বলেন, তিনি এবং তার সহকর্মীরা বিশ্বাস করেন, কানাডার স্বার্থগত সংঘাত আইন লঙ্ঘনের আওতায় এ অভিযোগ তদন্তের যথেষ্ট ভিত্তি আছে।
জাস্টিন ট্রুডোর মাইনরিটি সরকারের মিত্র দল কুইবেকোইস পার্টির নেতা ইভেস ফ্রাঁসোয়া ব্লানচেট প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তদন্ত চলাকালীন তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ব্লানচেট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত সাময়িকভাবে উপ-প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি আছি।’